সভাপতি
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। পৃথিবীও এগোচ্ছে দ্রুত। পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে সময়ের সাথে খাপ-খাইয়ে নিজেকে প্রস্তুত করার সময় হচ্ছে-কলেজ জীবন। ইংরেজি বলা ও
১৯৭০ সালের প্রথম দিকে এলাকায় একটি সুবাতাস বইতেছিল আমাদের বাড়ীর সামনের ঘাট থেকে নদী পার হলেই একটি নতুন হাই স্কুল হবে । শীতলক্ষা নদীর উত্তর তীরে খাসের বটতলায় । মিয়া বাড়ীর সর্বজন সম্মানিত সবুর মিয়া সাহেবের বড় ছেলে দানবীর হুমায়ন মিয়া সাহেব তাঁর মায়ের নামে অর্থাৎ সবুর মিয়া সাহেবের প্রয়াত স্ত্রী নুরুন্নেছা নামে একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন বলে প্রস্তাব করেন । পুটিনায় একটি হাই স্কুল থাকলেও নদীর উত্তর ও দক্ষিণ তীরের বিস্তীর্ণ এলাকা অর্থাৎ কাঞ্চন থেকে ডাঙ্গার মধ্যে কোন হাই স্কুল ছিল না । শীতলক্ষা নদীর উভয় তীরের সুবিশাল এলাকার মানুষকে আলোকিত করার জন্য এ প্রস্তাবটি ছিল সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় । স্কুল প্রতিষ্ঠার নির্বাচিত মনোরম স্থানটি ছিল হুমায়ন মিয়া সাহেবের পরিবারের নিজস্ব সম্পত্তি । স্থান নির্বাচন ও অর্থ তহবিল নিশ্চিত হওয়ায় নদীর উভয় তীরের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গভর্নিং বডি গঠন করা হয় । আমার যত টুকু মনে পরে নদীর দক্ষিণ পার থেকে জনাব আব্দুল গাফফার সরকার, জনাব মতিউর রহমান এবং জনাব কাজী ছবদার আলী (আমার শ্রদ্ধেয় পিতা) গভর্নিং সদস্য ছিলেন ।
গভর্নিং বডি গঠনের পর শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় । যে সকল সম্মানিত ব্যক্তিগণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সকলের শ্রদ্ধাভাজন বাবু পুলিন বিহারি বড়–য়া । তিনি ছিলেন পুটিনা হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক, এখানেও তিনি সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন । তিনি সকলের নিকট বড়–স্যার হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন । সত্যিকারভাবে বড়ুয়া স্যারই ছিলেন স্কুলের মুল চালিকা শক্তি । অল্প কিছুদিনের জন্য স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন স¦নামধন্য হোমিও ডাক্তার ও মিয়া বাড়ীর জামাতা জনাব এ আর এম বাদশাহ মিয়া । অল্প কিছুদিরেন মধ্যে বাবু শুভানন বড়ুয়া প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন । শুভানন স্যারের সময়ে ১৯৭২ সালে আমরা ১ম ব্যাচ এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি । অন্যান্য সম্মানিত
শিক্ষকরা ছিলেন নাজমুন নুর বাবু স্যার , আব্দুর রহমান স্যার, কুসুম স্যার, বাতেন স্যার এবং শ্রেণি শিক্ষক একজন মৌলভী স্যার ।